পাকিস্তানের কোয়েটায় রাস্তার পাশে ভয়াবহ গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশটির প্যারামিলিটারি বাহিনী ‘ফ্রন্টিয়ার কনস্ট্যাবুলারি’র চার সদস্য নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডন।
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ জানায়, কোয়েটার মারগেট এলাকায় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত একটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। এতে চার সদস্য নিহত হন। এছাড়া আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে তারা।হান্না উরাক স্টেশন হাউস অফিসার নাভিদ আখতার ডনকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ স্কোয়াডকে কোয়েটা শহরতলিতে একটি ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সুবেদার শাহজাদ আমিন, নায়েব সুবেদার আব্বাস, সিপাহী খলিল ও সিপাহী জাহিদ। আহতদের মধ্যে ল্যান্স নায়েক জাফর, লাইন্স নায়েক ফারুক ও সিপাহী খুররম সেলিম রয়েছেন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্টদের বরাতে জানিয়েছে ডন। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মার্চ মাসে সহিংসতা এবং নিরাপত্তা অভিযান তীব্র হয়েছে এবং নভেম্বর ২০১৪ থেকে প্রথমবারের মতো জঙ্গি হামলার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে দেশটিতে।গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স ২০২৫-এ পাকিস্তান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত বছরের তুলনায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১ জনে।
কোয়েটার এমন হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি কোয়েটা বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়েছেন এবং প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতি শহীদ এফসি সৈন্যদের দেশ রক্ষায় তাদের সেবার জন্য শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এবং সন্ত্রাস নির্মূলে জাতীয় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ‘পুরো জাতি শহীদদের স্যালুট করে এবং তাদের ত্যাগ স্বীকার করে।’
Post a Comment