হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ

 


চার দফা দাবি আদায়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ হয়েছে। আজ শনিবার ভোর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন।সমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতা–কর্মীদের ভিড়ে ভোর থেকে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত হয়ে আসে।হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, আজকের মহাসমাবেশের মুখ্য দাবি মূলত চারটি। এর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে হেফাজত নেতাদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার। সংগঠনটির হিসাবমতে, সারা দেশে হেফাজত নেতাদের নামে প্রায় ৩০০টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর ঘিরে হত্যাকাণ্ড, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার। এরপর যথাক্রমে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা, ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিগুলো থাকবে।সমাবেশে ইসলামি চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় নেতা জৌনপুরের সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, 'অসংখ্য আলেম-ওলামাকে জঙ্গি তকমা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। যদি বাবর সাহেব (লুৎফুজ্জামান বাবর) মুক্তি পায়, আলেম সমাজ কেন মুক্তি পাবে না। তাদের মুক্তির আগে সংস্কার নয়, নির্বাচনও হতে দেওয়া হবে না।'বিতর্কিত নারী কমিশন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হচ্ছে বলেন এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না।সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদ বিন হোসাইন বলেন, হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা পবিত্র কোরআনবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড রুখতে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত। আজকের সমাবেশ তারই প্রমাণ। অবিলম্বে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল করতে হবে।বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে মহাসমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। মিছিল থেকে নেতা–কর্মীরা অন্তর্বর্তী সরকার ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিরুদ্ধে এবং শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।আশুলিয়ার একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইদুল হাসান জানান, সমাবেশ উপলক্ষে তাঁর মাদ্রাসায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই মাদ্রাসার কাফিয়া শ্রেণি থেকে দাওরায়ে হাদিস শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সব শিক্ষার্থী সমাবেশে এসেছেন বলে জানান তিনি।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post