ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান। তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা, যার ফলশ্রুতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী তদসংলগ্ন এলাকায় সাইরেন বাজাচ্ছে।
বিবিসি ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিবে ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী দেখা গেছে। তবে এটি বিস্ফোরণের ফলে নাকি বিস্ফোরণ প্রতিহত করার চেষ্টা থেকে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরের কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে। হায়ুম জানিয়েছে, ইসরায়েলের ৭টি জায়গায় রকেট আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে এবং হামলা প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে। পাশাপাশি সর্বসাধারণকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের হামলার জবাব দেওয়া শুরু করেছে এবং ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েকশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ঘোষণা করেছে যে, সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির নির্দেশে তারা ইসরায়েলের মিলিটারি ও আকাশ প্রতিরক্ষা ক্যাম্পগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোররাতে ইসরায়েল 'অপারেশন রাইজিং লায়ন' নামে ইরানে আক্রমণ শুরু করে। এটিকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়েই ইসরায়েলের প্রায় ২০০ যুদ্ধবিমান অভিযানে যোগ দেয় এবং ইরানের ১০০টিরও বেশি স্থানে হামলা চালায়। এই লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক মিসাইল স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম। পরবর্তীতে শুক্রবার বিভিন্ন সময় নতুন করে আরও বেশ কিছু হামলা চালায় ইসরায়েল।
এসব হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান, রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধানসহ অন্তত ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এছাড়া অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরই ইরান এই হামলার সমুচিত জবাব দেওয়ার কথা জানায়, যা এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
Post a Comment