বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত সব শিক্ষককে বদলির আওতায় আনতে একটি কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই কমিটি গঠনের ফলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলি থামকে যাবে কি না সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম চালু হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে সব ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলির আওতায় নিয়ে আসা হত। তার আগেই শিক্ষকরা বদলি নিয়ে আদালতে রিট করেছেন। একইসঙ্গে জাতীয়করণ আন্দোলনের নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির পর্যালোচনা প্রতিবেদনের পর সর্বজনীন বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের বদলি কার্যক্রম চলমান থাকবে।নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বদলি সব শিক্ষকেরই দরকার। আমরা পাইলটিংয়ের মাধ্যমে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের বদলি কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। পাইলটিং সফল হলে ইনডেক্সধারী সব শিক্ষককে বদলির আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল। তবে শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে সর্বজনীন বদলি নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি যদি সব শিক্ষককে একিসঙ্গে বদলির আওতায় আনার সুপারিশ করে তখন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সেভাবেই কাজ করবে।’
কমিটি গঠনের কারণে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের বদলি থমকে যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বদলির কার্যক্রম থমকে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেননা এটি নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে। নীতিমালা লঙ্ঘনের সুযোগ আমাদের নেই। কমিটি গঠনের ফলে বদলি কার্যক্রম থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে। শিক্ষকরা আগে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে আমলাদের বিরোধীতার কারণে সম্প্রতি সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কারণে বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। চলতি বছর থেকে এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।
Post a Comment