শিক্ষকদের জন্য বিশাল সুখবর দিল অর্থ উপদেষ্টা

 


সরকার সামাজিক খাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংকটের মুখোমুখি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলা হলেও সরকারের কাছে অর্থের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থ কোথায়?’ শিক্ষকদের কম বেতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে শিক্ষকরা ঠিক মতো পড়ান না। কিন্তু তারা কত টাকা বেতন পান; ভুখা পেটে আর কতদিন পড়াবেনসোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএসই ভবনে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক বক্তব্য রাখেন। বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সভাপতিত্ব করেন।


অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারের অর্থায়নের অভাব রয়েছে। সরকারের লোকজন সব সময় বলে এটা দেন, সেটা দেন কিন্তু সরকারের রাজস্ব আদায় খুবই কম। আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত খুবই কম, মাত্র ৭.২ শতাংশ। মানুষ কর দেয় কিন্তু সেবা পায় না। এজন্য কর দেয়ার ক্ষেত্রে মানুষের আগ্রহ কম দেখা যায়। এজন্য আমরা এনবিআরের লোকদের সেবা বাড়ানোর কথা বলছি, যাতে মানুষ কর দিতে উৎসাহবোধ করেনতিনি বলেন, অর্থায়নের জন্য ট্যাক্স নির্ভরতা থেকে বের হয়ে শেয়ারবাজারে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সুকুক মার্কেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মালয়েশিয়া সুকুক মার্কেটে খুবই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। আমাদেরকেও সেভাবে এগুতে হবে।তিনি আরো বলেন, সুকুক বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যাসেট বেইসড হতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীরা এ থেকে রিটার্ন পায়। যদি ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা এতে আগ্রহী হবে। বেক্সিমকোর সুকুক বন্ডের বিষয়টি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সুকুক বন্ড নিয়ে যাতে কোন অনিয়ম না হয়, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post