মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়াসহ তিন দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অ্যাকশনে গিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষকদের আরেকটি অংশ। শিক্ষকরা বলছেন প্রজ্ঞাপন ছাড়া ঘরে ফিরবেন না। একই সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।এর আগে শিক্ষকদের প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।শিক্ষকরা বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হলো যুগ্ম সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না। আমাদের কাজের অনেকটা অগ্রগতি হয়ে গেছে, যে পরিপত্র কিংবা প্রজ্ঞাপনের কথা আমরা বলছি সেটি দেয়ার কথা রয়েছে।কিন্তু শিক্ষা উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা এই মুহূর্তে দেশে নেই। অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থ সচিব দেশে আসবে ২২ তারিখ। ২২ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সবাই এখন শহীদ মিনারে যাবে প্রেস ক্লাবে থাকতে দেবে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের পাঠানো হয়েছে। এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান।এদিন সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তিন দাবিতে মহাসমাবেশ শুরু হয় শিক্ষকদের। এতে সারাদেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক অংশ নিয়েছেন। ফলে তোপখানা রোডে যান চলাচল ধীরগতি হয়ে গেছে।কর্মসূচি থেকে রোববার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারকে আরটিমেটাম দিয়েছিলেন তারা। আগামীকালের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন শিক্ষকরা। তবে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় এই আন্দোলনের ঘোষণা বহাল থাকলো।
00:01
Post a Comment