প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পরিবর্তন আসছে!



 সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। এ দাবিতে গত বৃহস্পতিবার সরকারি কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সংগঠনটি।বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এ দাবি নিয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি পুরোপুরি বাতিল না কলে কিছুটা সংশোধনী আনা হতে পারে। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসির এক কর্মকর্তা বলেন, `প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের দাবির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে পদের চাহিদা দেওয়ায় আমরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। এ বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধনী আনার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কমিশন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।’গত ৩১ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) মোট ২ হাজার ১৬৯টি পদের জন্য প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্য ১১তম গ্রেড এবং প্রশিক্ষণবিহীনদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী এই গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের যোগ্যতায় বলা হয়েছে, ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি; এবং খ) শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অনুষ্ঠিতব্য এই নিয়োগের পরীক্ষা লিখিত আকারে হওয়ার কথা জানায় পিএসসি। এর মধ্যে ৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী) থাকবে। লিখিত পরীক্ষার পাসের সর্বনিম্ন নম্বর ৫০ শতাংশ। এছাড়া মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে চার দফা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে; আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির পথকে বাধাহীন রাখতে হবে এবং শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্যমূলক যেকোনোও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।



Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post