বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেও বিপুল সংখ্যক প্রার্থী সুপারিশ পাননি। এ অবস্থায় বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সুপারিশের দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে এ ধরনের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা নেই সংশ্লিষ্টদের।বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালায় আমুল পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষক নিবন্ধন যুগের সমাপ্তি হচ্ছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের পর নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। ১৮তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীরাও আসন্ন শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সুযোগ পেতে পারেন। যাদের বয়স ৩৫ অতিক্রম হয়নি তারা নিয়োগের সুপারিশ পেতে পারেন। তবে বিষয়টি এনটিআরসিএর বোর্ড সভায় চূড়ান্ত করা হবে।নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে ভাবছি না। সামনে নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে যেহেতু শূন্য পদ রয়েছে, সেহেতু সরকার চাইলে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনা দিতে পারে। আমরা পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ভাবছি। এছাড়া যারা সুপারিশ পাননি তাদের নম্বর কম, মেধাতালিকায় পিছিয়ে রয়েছেন; সেজন্য তারা সুপারিশ পাননি। ফলে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও লাভ হবে না।’এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে নিয়োগ সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। যদিও ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছিলেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন। তবে পদ না থাকা, ভুল চাহিদা দেওয়া এবং সনদে উল্লেখিত পদে আবেদন না করায় ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থী সুপারিশ থেকে বাদ পড়েছেন। এ প্রার্থীরা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ সুপারিশের দাবি জানিয়েছেন।
Post a Comment